Thursday, 28 May 2020

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা এক সময় শুধুই স্মৃতি হয়ে যায়,.....
এক সাথে‌ কাটানো মূহুর্ত গুলো খেই হারিয়ে ফেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝির ভিড়ে,,
এক সাথে‌ পথ চলার স্বপ্ন হঠাৎই অন্তর্হিত হয় অচেনা একাকিত্বতায়,,
রাতের নিস্তব্ধতা রুপান্তরিত হয় এক গভীর অনিশ্চয়তায়,
🖋️🖋️🖋️🖋️.....
কলমের ওপারে,,,,,
বেলা
"""মুখোমুখি"""
অটোরিকশাটা হু-হু করে এগিয়ে চলেছে গঙ্গার ধার দিয়ে,,,,,,নির্বাচন দপ্তরে এসেছিল কৌশানি ভোটার কার্ডটা ঠিকঠাক করতে,,,,,2 দিন বাদে ওর একটা নতুন জীবন শুরু হতে চলেছে,,,,,কোম্পানিতে join করার সময় ভোটার-কার্ডটা লাগবে তাই এই দিকটায় আসা,,,,,,,
‌গঙ্গার হওয়ায় বারবার চুলগুলো মুখের ওপর এসে পড়ছে,,,,,নাঃ সেজন্য আজ আর বিরক্ত লাগছে না কৌশানির,,,, বরং বেশ ভালোই লাগছে,,,সেই চোদ্দ বছর আগে বাসে করে যাওয়ার সময় যখন তার ঘাড় অব্দি কোনোক্রমে পৌঁছানো চুলগুলো উড়ত তখন বেশ নিজেকে বেশ বড় বড় লাগতো,,,,,,,,,আজ দীর্ঘ বছর পর সেই সব দিন গুলোকে realise করতে গিয়ে কেমন যেন ইতিহাসের বইয়ের সাথে নিজের জীবনের এক বিশাল বড় মিল খুঁজে পাচ্ছে কৌশানি,,,,,,,,সেই একই রাস্তা,,,একই অলিগলি,,,,, সেই পুরোনো ঘরবাড়ি গুলো যদিও ওদের বয়সটা বেড়েছে কিন্তু তাও সেই একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,অবশ্য নতুন সদস্য হিসেবে কিছু নতুন ঘরবাড়িও ওর চোখে পড়লো,,,,,,,,মাঝে কয়েকটা সেই চেনা বাড়িও দেখতে পেল কৌশানি,,,, মনে হলো অটোটা থামিয়ে ওই বাড়িগুলোতে গিয়ে গলা ফাটিয়ে ডাকে ওই অনুরতি ওই হিমাদ্রি,,,,,,আজ খেলতে যাবি না?????
বেশ নস্টালজিক হয়ে গেছিল ও,,,,,হঠাৎ ভাবনায় ব্যঘাত পড়লো অটো কাকুর ডাকে,,,,,,""দিদি এসে গেছি""""
‌ মনের ভিতরে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে,,,,,,,এই চোদ্দ বছর বাদে কেউ কি আর ওকে চিনতে পারবে???? না ও কাউকে চিনতে পারবে???? কে জানে,,,,,যদি কেউ না থাকে ওর চেনাশোনা !!!,,,,,,
মনের ভিতরে হাজারো ওঠানামা-দ্বন্ধ-পসিটিভিটি আবার কোথাও যেন একটু হলেও নেগেটিভিটি নিয়ে
‌গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে গেলো কৌশানি,,,,,collapsible gate টা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে গিয়েই মনটা বেশ ভালোমতো ভেঙে গেল গার্ড কাকুর কথা শুনে,,,,"" কে আপনি????? এখন স্যাররা সবাই মিটিং এ busy,,,,,,""
‌তাহলে কি ও যা ভেবেছিল তাই হলো???!!😢😢😢 কেউ কি ওকে চিনতে পারবে না?????কেউ কি নেই ওর চেনা???? গলার কাছটায় কেমন যেন একটা দলা পাকিয়ে এলো,,,,, কোনোক্রমে ঢোক গিলে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কৌশানি,,,,, হঠাৎ পিছন থেকে কাঁধের ওপর সেই পুরোনো স্পর্শটা অনুভব করলো,,,,,,"" কেমন আছিস কৌ???"""" কিছুই ঠিক করে দেখতে পাচ্ছে না ও,,,নোনা-জল already বাঁধ ভেঙে দিয়েছে,,,,,""বলতো কৌ আমরা কে???""" সেই পুরোনো গলা,,,,,,,ঝাপসা চশমার কাঁচ দিয়েও কৌশনি পাঁচটা মুখ খুব স্পষ্ট ভাবে দেখতে পেলো,,,,,""সুরমা দিদিমণি,,,,,দেবযানী দিদিমণি,,,,,ববিতা দিদিমণি,,,,,সমীর স্যার আর রুপালি দিদিমণি,,,,,""
‌Life এ new and ultimate পর্যায়ে পা দেওয়ার আগে যখন একটু ভয়--একটু nervousness--একটু দ্বিধাবোধ লাগছিল ঠিক তখনই যেন জীবনের সেই 1st stage টা আবার একবার কৌশানির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো ""ভয় কি??!! আমি তো আছি""",,,,,,"""ওর প্রথম স্কুল জীবন,,,,"""
‌কলমের ওপারে,,,
‌বেলা,,,
‌08,03,2019

Sunday, 15 December 2019

"" ইতিহাসের পাতায় একদিন,,,,"""

সকালে ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজটা নিয়ে বসা আমার একটা স্বভাব,,,,, ওই নিত্ব অভ্যাসগুলোর মধ্যেই এটা পরে গেছে আর কি,,...জেরি আমার পাশে বসেই একটা সাহিত্য পত্রিকাতে মন নিবেষ করেছে,,,,,রামুদা কে বলেছি আমাদের সকলের চা টা দিতে,,,,,এবার একটু বিরোক্তি সহকারে জেরি আমার দিকে তাকিয়ে বলল ""ধুস !! এতো মনোযোক দিয়ে কাগজ পরে কি লাভ ??? সেই একই politice আর social harrashment news আজকাল কোথাও গিয়ে মানুষজন একটু শান্তিতে থাকতে পারবে না,,,,!!!ওসব কাগজ পত্র রেখে একটু সাহিত্য চর্চা কর দিকি টম,,,,"""
আমিও একটু অবাক হয়ে গেলাম ওর এই সব কথা শুনে,,,আমার প্রশ্নসূচক মুখমন্ডলটা জেরি না দেখেই ভালো মতো উপলব্ধি করতে পেরেছে তাই আমার দিকে নিজের সাহিত্য পত্রিকাটা এগিয়ে দিয়ে বললো,,,,""গল্পটা পর,, দেখ কি aswam,,,,
ও হ্যাঁ, গল্পটা শুরু হওয়ার আগে বলে দি,, আমি টম,,, আর আমার পাশেরজন জেরি,,,,তা অবশ্য আমাদের আসল নাম নয় কিন্তু সবাই আমাদের এই নামেই চেনে,,,,,,
ও হ্যাঁ যেটা বলছিলাম,,,,,
জেরির হাত থেকে পত্রিকাটা নিয়ে দেখলাম page no, 24,,,,একটা গল্প শুরু হয়েছে,,,নাম - " ইতিহাসের পাতায় একদিন,,,""
আমি একটা প্রশ্নসূচক দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকাতেই জেরি বললো,,,,""আরে পর পর,,, খুব ভালো গল্পটা,,,,যদিও ইতিহাস মনে আমাদের indian history বা অন্যকোনো কিছুর history ভেবে ফেলিস না,,,,,ওটা এমনি একটা গল্প,,,,,তুই গল্পটা পর আমি ততক্ষনে একটু fresh হয়ে আসছি,,,,,""এই বলে জেরি উঠে গেল,,,আর আমিও গল্পটাকে মনোনিবেশ করলাম,,,,বেশ aswam গল্পটা কখন যে ডুবে গেছে গল্পটায় কে জানে,,,!!!হো ফিরলো যখন তখন দেখি রামুদা already চা দিয়ে গেছে,,,,,,
""কিরে পড়লি গল্পটা ??"" জেরির গলা,,,
"""হ্যাঁ রে পড়লাম,,,,বেশ টান টান,,,একবার পড়তে শুরু করলে কিন্তু ছাড়া যায়না,,,কিন্তু তুই লেখকের নামটা খেয়াল করেছিস???""আলবার্ট"" তোর কি নামটা আসল লাগলো??? """
""না,,,,May be আসল নাম না,,,,,but still.. গল্পের বাঁধনীটা কিন্তু ভীষণ ভালো.....পাঠকদের কিভাবে আটকে রাখতে হয় তা এই ব্যক্তি খুভ ভালো ভাবেই জানেন দেখছি...."" বলেই চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে জোরে হেসে উঠলো জেরি...
"""কিন্তু শেষে ওই মেয়েটাকি খুন করা খুব দরকার ছিল...!!??কি করে খুন করলো,,কেনই বা করলো,, কে করলো,,, সে সব পরবর্তী অধ্যায় বেরোবে,,, অতএব আমাদের মতো পাঠকদের অপেক্ষা করতে হবে,,,,,""""
পরশু দিনের গল্পটা পড়ার পর আমারও কেমন একটা নেশার মতো হয়ে গেছে,,,,,,কি হবে গল্পটার শেষ কে জানে...!!!কোনো কিছুতেই concentrate করতে পাচ্ছি না....ঘুম থেকে ওঠার পর জেরি কে দেখতে পায়নি,,,,,রামুদ বললো ও একটু বাজারের দিকটায় গেছে,,,,এখনো পত্রিকাটা আসে নি,,,অগত্যা অভ্যাস মতো খবরের কাগজটা নিয়েই বসলাম,,,,,প্রথম পাতায় একটা ক্যবর বেরিয়েছে,,,,,একটা 5 -তারা হোটেলে একটা মেয়ের মৃত দেহ পাওয়া গেছে,,,নাম - ময়ূরাক্ষী বসু...বয়স - 25 কি 26... পেশায় একজন মডেল.....কিন্তু কি দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটা পুলিশ কিছুতেই বুজতে পারছে না,,,,,তাই ফরেন্সিক ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে,,,,,,খবরটা পরে আমি না পুরো ব্যাপারটা বোধগম্য করার চেষ্টা করছি,,,,এটা কি করে হতে পারে,,!!পরশু একটা muder story পড়লাম,,,,আর আজকে একটা খুন হয়েও গেলো,,, তাও আবার গল্পের সাথে হুবহু মিলে,,,,???
""টম... আরে কি ভাবছিস,,??খবরটা তার মানে তুইও পড়েছিস,,,,,"""
""তুই আগে বল,,তুই এত সকালে বাজারে কেন গেছিলি,,,????তোর কি কিছু সন্দেহ হচ্ছে ওই লেখকের ওপর..??? """" """আরে আজ ওই সাহিত্য পত্রিকাটার বেরোনোর কথা না???তাই ওটা আনতে গেছিলাম,,,,,,"""
জেরির হাতে পত্রিকাটা,,,,একটা চাপ উত্তেজনা কাজ করছে আমাদের মধ্যে,,,কি লেখা বেরোবে কে জানে.... আমি রীতিমতো ছোঁ মেরে জেরির হাত থেকে পত্রিকাটা নিয়ে নিলাম....24th page......"" লেখকের তরফ থেকে আন্তরিক দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে দুদিন আগে প্রকাশিত ইতিহাসের পাতায় একদিনের বাকি অংশটা আর প্রকাশিত হবে না... কারণ recently একটা হুবহু একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার জন্য,,,,,যেটা খুভ unexpected...."" এই বলে একটা নতুন গল্প শুরু হয়েছে....ওই একই লেখকের.... কিন্তু এর ও শেষটা কেমন কেমন যেন....ডক্টরটার শেষ পর্যন্ত কি হলো সেটা লেখেন নি....বাকি অংশটা নাকি আবার পরের পত্রিকাতে প্রকাশিত হবে....গল্পটা পরে দুজন দুজনের মুখ চাওয়াচাই করলাম....
কি হলো কেন হলো কিকরে হলো কিছুই বুঝতে পারলাম না...জেরি একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো...""চার বাদ দে..may be coincedently মিলে গেছে... নিয়ে কি করে সম্ভব..????"""
আর বেশি না ভেবে আমিও উতে পড়লাম....স্কুলে যেতে হবে...আসলে আমি পেশায় একজন ভূগোলের শিক্ষিকা আর জেরি একটা বেসরকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরতা....

স্কুলে ক্লাস নিচ্ছি হঠাৎ জেরির ফোন...
""কিরে শুনেছিল???ওই খুনের ঘটনার ফরেনসিক পরীক্ষা যে ডাক্তারের অধীনে ছিল তিনিও আজ খুন হয়েছেন ওই একইভাবে...আর দেহটা একই হোটেলে একই ঘরে পাওয়া গেছে....even ওই ডাক্তারের কাজ নাকি শেষ হয়ে গেছিলো.. শুধু রিপোর্টগুলো জমা দেওয়া বাকি ছিল...এখন সেই রিপোর্টগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না.....ওই ডাক্তারের মৃতদেহর পাশে অনেক ছাই র গুঁড়ো পাওয়া গেছে... পুলিশ সন্দেহ করছে হয়তো ওটা ওই রিপোর্টেরই অংশ....শোননা তোর স্কুল শেষ হয়ে গেলে আমার সাথে ঘটনাস্থলে যাবি...???? কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না.....আমি জানি তোরও curiocity লাগছে....."""
""আমিও তোকে এটাই জিজ্ঞাসা করতে যাচ্ছিলাম......"""

স্কুল শেষ হবার পর দুজনে মিলে বেরিয়ে পড়লাম... আজ শনিবার...half day...জেরিই আমাকে আমার স্কুল থেকে pick করে নিলো....school ses a beriye porlam dujon a mile...50min গাড়ি চালানোর পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলাম....পুলিশ র সাংবাদিকে পুরো জায়গাটা থিকথিক করছে.....কারোরই ভিতরে যাওয়া Allow নয়... হটাৎ খেয়াল করলাম crime inspector Mr. গোড়বলে বাবুও রয়েছে....উনি আমাদের পূর্বপরিচিত...আসলে উনি আমাদের আগেও অনেকগুলো বেপারে বেশ সাহায্য করেছেন....

Anyway... আমরা গোড়বলে বাবুর সাহায্যে exact জায়গাটায় পৌঁছলাম....যা যা শুনলাম এখনো অব্দি তাতে সারাংশ এটা দাঁড়ায় কি....ডাক্তারের নাম - নলিমা সেন....বয়স - 32... অবিবাহিত...নিজের ফ্ল্যাটে একই থাকতেন....বুকের ওপর কিছু ধারালো জিনিস দিয়ে আঘাত করে ওনাকে মারা হয়েছে....কিন্তু কি দিয়ে খুন করা হয়েছে সেটা এখনো বোজা যাচ্ছে না... আর আগের case টার রিপোর্টও সব পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে.... সুতরাং সব কিছু আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে...তবে গোড়বলে বাবুর নাকি মনে হচ্ছে দুজনকেই একই রকমের জিনিস দিয়ে বা একই রকম ভাবে খুন করা হচ্ছে...
জেরি একটু কাছে গিয়ে সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে...অবশ্য কোনো কিছুতেই হাত দেওয়া যাবে না...ডাক্তারের মৃত দেহটা এখনো একই ভাবে রাখা আছে... বোঝাই যাচ্ছে যে ফরেনসিক team এর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে....
45 min বাদে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে এলাম....এবারে গাড়িটা আমি চালাচ্ছি আর জেরি পিছনে বসে....টানা 1 ঘন্টার রাস্তা..এভাবে চুপচাপ গাড়ি চালানো যায় নাকি..!!?? তাই আমি বললাম  ""হাঁ রে তোর কি মনে হচ্ছে?? খুনটা কে করতে পারে..??ওই লেখকটা কি এতটা risk নেবে??? আর তাছাড়া খুনের পিছনে কারণেই বা কি থাকতে পারে???....""" জেরিও আমাকে support করলো....ওরও তাই মনে হয়...বাড়ি ফিরলাম যখন ঘড়িতে ঘড়িতে বিকাল 4টে বাজছে....সোফায় আমরা দুজন মুখমুখি বসে আছি...আর আমাদের মাঝে রামুদার famous আদা দেওয়া চা...আর এক গভীর নিস্তব্ধতা.... উত্তেজনা এতটাই যে আমরা একে অপরের হৃদস্পন্দনটা অব্দি শুনতে পারছি....
""চো... বসে থেকে লাভ নেই....একবার এই Mr. আলবার্টকে দেখে আসি..কে এই ব্যক্তি......""
""কিন্তু তোর কি লাগছে...ওই নামটা আসল????আর যদি আসল হয়ও তাই ঠিকানা পাবি কোথায়....ঠিকানা ছাড়া কোথায় খুজবি এই বিশাল শহরে???""
""আরে ওটনা.... আগে চ পত্রিকার অফিসে যাই.. ওখানে আসা করি কোনো না কোনো খোঁজ ঠিক পাওয়া যাবে...তারপর দেখা যাবে....."""
8টা বাজে...শীতের সন্ধ্যে...দুজনে দুটো ওভেরকোট চাপিয়ে গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম....রামুদাকে বলা আছে রাতে ফিরতে দেরি হবে তাই রুটি আর একটা তরকারি বানিয়ে রাখতে...
15 min গাড়ি চালানোর পর গন্তব্য স্থানে পৌঁছলাম...অফিস খোলাই আছে... আমিতো একটু অবাকই হলাম এত রাতে অব্দি অফিসে খোলা...কি বেপার কে জানে??? যাইহোক ভিতরে দুজনে মিলে প্রবেশ করলাম...সামনেই Editor র রুম... আলো জ্বলছে...ভিতরে একজন চশমা পড়া পাঞ্জাবি লোক সামনে রাখা কম্পিউটারে কাজ করছেন...দরজায় knock করলাম....
""নমস্কার..আমরা আসলে প্রকাশক মহাশয়ের সাথে দেখা করতে এসে ছিলাম.. একটু দরকার ছিল... আমি জেরি আর আমার সাথে ইনি টম..."""
""ও আচ্ছা... নমস্কার.. আমি Mr. সিং... মানে গুরপৃত সিং...আমি এখানকার editor... ওই আমার রুম থেকে বেরিয়ে সামনে সোজা ডান দিকে গেলে আপনারা ওনার রুম তা পেয়ে যাবেন.....আচ্ছা নমস্কার...বুঝতেই তো পারছেন একটু ব্যাস্ত আছি...যা সব news আসছে তাই এখন ওভার time করতে হচ্ছে...""
ওনার রুম থেকে বেরিয়ে এসে আমরা দুজনে প্রকাশকের রুমের দিকে হাঁটা লাগলাম....বেশ বড় অফিসটা...অনেকেই এদিকে ওদিকে কাজ করছে...তবে ওই সিং লোকটা কিন্তু বেশ ভালো মানুষ বলেই মনে হলো...কোনো ব্যাস্ত ছিলেন তাও কত politely আমাদের সাথে ব্যবহার করলেন.....যাইহোক প্রকাশক মহাশয়
নিজের রুমের ছিলেন... বেশ লম্বা...পেটানো শরীর...আমাদের দিকে পিছন ফিরে আলমারি থেকে কোনো file বের করছিলেন....আমাদের পায়ের আওয়াজ পেয়েই ঘুরে দাঁড়ালেন....নাম - Mr. দেবজিত দেবনাথ.... আচ্ছা তারমানে ইনি Mr. DD...বিখ্যাত টেলিভিশন সঞ্চালক...বেশ প্রাণ খোলা মানুষ...যদিও আমাদের পূর্বপরিচিত নন.. তাও আমাদের অনেকটাই সাহায্য করলেন... ""Mr. Albert.. urf sajid sarkar..MG Road.. 15/6 . 6th main road.....""" যাক অনেকটাই খবর পাওয়া গেছে....একটা ধন্যবাদ বিনিময় করে আমরা বেরিয়ে একম ওনার কেবিন থেকে....

রাত 10.30 এ বাড়ি ঢুকলাম...কাল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ঠিকানাটায় একবার ঢুঁ মারতে হবে... তবে একদিক থেকে সুবিধা কাল রবিবার...আমাদের দুজনেরই ছুটি...

ঘুম ভাঙল যখন ভোর 5.30...জেরি এখনো ঘুমাচ্ছে....কাল সারারাত আমার ঠিক করে ঘুম হয় নি....জানি না ও কিকরে এত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে...ও পরেও....ওকে দেখলে একদম বজায় যায় না ওর ভিতরে কি চলছে......এই সব ভাবতে ভাবতেই সকালের কাজ কর্ম সেরে সবে রামু দার হাতের sepcial চা তা নিয়ে বসেছি.....ঘরে আওয়াজ পেয়ে বুজলাম জেরিও উঠে পড়েছে......Any way আমাদের জলখাবার সেরে বেরোতে বেরোতে বেলা 8টা বেজে গেল....এখন থেকে যেতেও টিমে লাগবে প্রায় 1ঘন্টা 30 মিনিট মতো.....কি জানি কি হতে চলেছে...আজ জেরিই গাড়িটা চালাচ্ছে আর আমি পিছনে বসে...
অবশেষে পৌঁছলাম 15/6 . 6th main road...MG road...
একটা খুভ সাধারণ মানের বাড়ি...পরিবেশটাও বেশ ছিমছাম....calling bell তা বাজালাম...একজন এই 25 -26 বছরের যুবক দরজাটা খুললো.... চলে গোল ফ্রেমের চশমা..পরনে খুবই সাধারণ পাজামা পাঞ্জাবি..হাতে পেন...মুখে একটু বিরক্তির প্রকাশ....""কি চাই""
মনে হয় কোনো কিছু লিখতে লিখতে উঠে এসেছেন.....
জেরিই উত্তর দিলো..""নমস্কার স্যার...বলছি লেখক সাজিদ সরকার বাড়িতে আছেন???আসলে আমরা ওনার খুব বড় ফ্যান...একবার দেখা করতে চাই  please...""
""হ্যাঁ আমি...ভিতরে আসুন...""হয়তো জেরির মুখ থেকে ফ্যান শব্দটা শুনে বরফ একটু হলেও গলেছে......উফফ জেরিটা পরেও বটে...
""বলছি বিরক্ত করছি নাতো??"""বলতে বলতে জেরি সিংহের গুহায় ঢুকে পড়ল...ওকে যে বারণ করবো সে উপায় নেই..আমার কেমন জানি এই লেখকের ওপর বেশ সন্দেহ জেগেছে...আর ও এর মধ্যেই লোকটার সাথে বেশ ভাব জমিয়ে ফেলেছে....বাড়ি থেকে আমাকে পাখি পড়া করে এসেছে আমি যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া মুখ না খুলি..খুললে আর রক্ষে নেই..ও হয়তো আমাকে এখানেই এক ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাবে....এদিকে ভিতর থেকে শুনতে পাচ্ছি সাজিদ সরকার জেরিকে বলছে ""আর বলবেন না ...লাস্ট কদিন ধরে যে কি শুরু হয়েছে না...যে গল্পই শুরু করছি তার সাথেই বাস্তবটা কেমন মিলে যাচ্ছে...কি মুশকিল বলুন দেখি..!!"""
""কিরে কি গেলি"" জেরির গলা আমাকেই উদ্দেশ্য করে...
অগত্যা আমিও জয় মা কালি বলে ঢুকে পড়লাম...যায় হোক বীরের মতো লড়ে মরবো.....ও বাবা !! কোথায় কি..একটা ভীষণ সাধারণ মানের ঘর...যার একটা দিক একটা বিশাল আলমারিতে পুরো বইয়ে ভর্তি...অন্যদিকে বসার জন্য দুটো সোফা একটা টি টেবিল.. এক একটা দিক দিয়ে ভিতরের ঘরে যাওয়ার রাস্তা...
আমার কিন্তু অতো বই একসাথে দেখে বেশ লোভই হচ্ছিল..মনে হচ্ছিল একটু গিয়ে ঘেঁটে দেখি...কিন্তু লোভ সংবরণ করে নিলাম.......আড় চোখে জেরিকে দেখলাম ওরা দুজন সোফায় বসে কথা বলছে... ওকে দেখে বেশ comfortable আর নিশ্চিত লাগছে... আর এদিকে আমি বইয়ের আলমারিটার সামনে দাঁড়িয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে আছি বইয়ের খালি মনে হচ্ছে এই না কখন আমাদের ওপর কিছু নিয়ে হামলা করে বসে....পড়ে তোমরা হাসছো...!!আমি জানি...কিন্তু বিশ্বাস করো এটাই সত্যি...

যাই হোক দুবার ঢোক গিলে প্রশ্নটা করেই ফেললাম..""আচ্ছা আপনি কি একই থাকেন??"""
""না না আমি আমার বউ, লতা অর্ববাচ্ছা স্নেহাকে নিয়ে থাকি..মেয়ে ক্লাস 4 এ পরে..holly heart girls school এ...আমার বউ ওকে স্কুল থেকে আনতে গেছেন তাই হয়তো আপনার বাড়িটা একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে...এটা আমার study রুম বলতে পারেন আবার বাইরের বসার ঘরে বলতে পারেন...এর পাশের ঘরটায় সোয়ার ঘর...তার সামনে একটা
ছোট হল ঘর মতো আর উল্টো দিকে একটা বাথরুম আর একটা রান্না ঘর...বুজতেই তো পারছেন আমি একজন সম্মান ব্যাঙ্গালোর মেট্রো রেলে কর্মকর্তা মানুষ আর এই একটু লেখালিখি করি...তাই এই ছোট ভাড়া ঘরেই কোনোরকমে  দিন কেটে যাচ্ছে আমাদের তিনজনের আসলে আমি লেখালিখিটাকেই career হিসাবে করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ওই বাবা মায়ের চাপে পড়ে আর হয়ে ওঠেনি....""
""বলছি ..এই recent ঘটনাগুলোকে আপনি কি ভাবে ব্যাখা করবেন স্যার...???আমরা just ওই বেপারগুলো নিয়ে একটু ciruious হয়েই আপনার কাছে ছুটে এসেছি বলতে পারেন..গল্প আপনি শুরু করছেন সেটা বকিভাবে বাস্তবে পরিণত হচ্ছে ??? কি বেপার বলুন তো???""
জেরির কাছ থেকে এরকমই প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেটা সাজিদ বাবুর মুখ দেখে  ভালো ভাবেই বোঝা গেল....একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি বলতে শুরু করলেন...""দেখুন আপনাদের আমি অনেক আগেই বলেছি যে আমাকে বাবা মায়ের চাপে পড়ে লেখালেখিটা ছাড়তে হয় তার পর বিয়ে আর তারপর স্নেহা আমাদের জীবনে আসে তারপর মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়...তালগোলে সংসারের চাপে পরে আমি তো প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম আমার এই ইচ্ছাটার কথাটা হঠাৎই এই এক না দু বছর আগে আমার মেয়ের স্কুলে parents দের নিয়ে একটা activity programm হয় যেখানে প্রতিটা বাচ্চার বাবা বা মাকে participate করতে হয় এবং সেখানে কিছু না কিছু ক্রেটিভ কাজ করে দেখতে হয়...সেখানে আমিও participate করি এর একটা ছোট বাচ্চাদের গল্প লিখি...লেখাটা সবারই ভীষণ পছন্দ হয় আর 1st prize পায়..তারপর থেকে মেয়ে মাঝেমাঝেই বায়না করতো এটা লেখো ওটা লেখো আর আমিও লিখে দিতাম... এরকম ভাবে দিব্য চলছিল...হটাৎ একদিন একটা বয়ের দোকানে গিয়ে Mr. সিংয়ের সাথে আলাপ...ওই আমি যে পত্রিকাতে এখন লিখছি তারই editor উনি...তারপর যা হয় আর কি..এ কথা ও কথা হতে হতে উনি জানতে পারেন আমার এই লেখালিখির কথাটা তখন উনি আমাকে ওনাদের অফিসের ঠিকানা দিয়ে ওখানে দেখা করতে বলেন তারপর উনি আমাকেও অনেকটাই হেল্প করেন এইসব ব্যাপারে...দিব্য চলছিল...ওনারা খুভ ভালো মানুষ বটে...কিন্তু হুট করে কিযে শুরু হলো সেটাই বুজতে পারছি না...""
""আচ্ছা আপনি কি মডেল বা ওই ডাক্তারকে চেনেন??? বা এমন কাউকে যে ওই দুজনকেই চিনতেন...??""
""দেখুন আমি একজন সামান্য মানুষ হয়ে ওদের কি করে চিনব কি করে???আমার তো দৌড় বলতে ওই মেট্রো অফিসে আর ওই পত্রিকার অফিসে..তবে এটা বলতেই হয় ওই পত্রিকার অফিসে  সবাই বেশ প্রানবন্ত.. ওনাদের সাথে কথা বলতে বলতে অনেক সময়ই কত নতুন নতুন গল্পের পল্ট আমার মাথায় আসতো...."""" এক নিঃশ্বাসে সব কথাগুলোকে বলা শেষ করে চোখগুলোকে একবার মুছে নিলেন সাজিদ বাবু...
""চ টম... আমরা আজ উঠি...সাজিদ বাবুকে একটু এক ছেড়ে দেওয়ার ভালো...আমরা না হয় পরে অন্য একদিন আসবো...."" বলেই আমার হাতটা ধরে রীতিমতো টেনে ধরে বাইরে বের করে নিয়ে এলো জেরি..এক হ্যাঁচকায় গাড়িযে বসিয়ে accelator তা জোরে ঘুরিয়ে দিলো...

আমি এখনো একটু schoked mode এই আছি..কথা ট্যেকে কি হচ্ছে..কেন হচ্ছে ....আর জেরিই বা কি করতে চাইছে কিছুই বুঝতে পারছি না... জেরিকে যে প্রশ্ন করবো কিছু সে উপায় ও নেই...ও এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে...বাড়ি ফিরে জেরি গোড়বলে বাবুকে ফোন লাগলো ফিসফিস করে যে কি বলবো আমি ওর এত কাছে বসে থেকেও কিছু বুঝতে পারলাম না...ফোনটা রেখে রামুদাকে হাঁক দেয়...""দাদা দুটো আদা দেওয়া তোমার হাতের স্পেশাল চা with গরমা গরম পিঁয়াজি...জলদি দাও ভীষণ খিদে পেয়েছে..""আমি জানি এটা হলো ঝড় ওটার আগে থমথমে পরিবেশ...কিযে হতে চলেছে কে জানে...
আমার মনের কথা বুঝতে পেরে জেরি বললো..""যা আজ তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়..last কদিন ধরে যা চলেছে না.
.মাথাটারও একটু বিশ্রাম দরকার..কাল আবার পত্রিকাটার বেরোনোর কথা...দেখা যাক কি হয়..."""এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না যে উত্তেজিত হয়ে বলেই ফেললাম """তোর কি মনে হয় ওই সাজিদই আসলে culpit..নিজেকে আড়াল রাখার জন্য এই সব কিছু করছে ..I mean লেখাটা কে হাতিয়ার বানিয়েছে ??""
প্রশ্নটা শুনে জেরি কোনো উত্তর না দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিলো...আমিও বুজতে পারলাম এই প্রশ্নের উত্তর এখন আর পেলাম না....তাই কাল পত্রিকাটা আসা অব্দি অপেক্ষা করা ছাড়া আমার কাছেও কোনো উপায় নেই...অগত্যা আমিও চা আর পিঁয়াজিতে মনোনিবেশ করলাম..

রাতে যে কখন দুচোখের পাতা এক হয়েছিল কেজানে??..সকালে জেরির গলার গানে ঘুম ভাঙল..বেশ ধড়ফড় করে উঠে বসলাম...ঠিক শুনছি তো..!!??আজ তো পত্রিকাটার বেরোনোর কথা...পড়ি কি মরি করে ছুটলাম বাইরের ঘরের দিকে...জেরির হাতে পত্রিকাটা....কোনো বাক্যব্যায় না করে ছোঁ মেরে ওর হাত থেকে পত্রিকাটা নিয়ে নিলাম...কি আছে 24 নম্বর পাতায় ??.."""লেখকের তরফ থেকে আন্তরিক দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে দুদিন আগে প্রকাশিত ইতিহাসের পাতায় একদিনের বাকি অংশটা আর প্রকাশিত হবে না... কারণ recently একটা হুবহু একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার জন্য,,,,,যেটা খুভ unexpected....এই বলে একটা নতুন গোলও শুরু হয়েছে....Mr. সাজিদ সরকারের......কিন্তু এরও শেষটা কেমন যেন...ডেটেক্টিভেটা নিজেই আত্মহত্যা করেছে...কিন্তু কেন???বাকিটা জানতে আমাদের নাকি পরের পত্রিতাতে চোখ রাখতে হবে..."" পড়ে আমি জেরির দিয়েকে তাকালাম...ওর অবশ্য সেদিকে কোনো বাস নেই দিব্য নিজের মতোকরে গান গেয়ে যাচ্ছে ""যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...""আমার একটু অসহ্য লাগছে...এবার যে কে target হতে চলেছে সেটাই বুজতে পারছি না আর ও দিব্য গান গেয়ে যাচ্ছে..

""যা যা বেশি ভেবে লাভ নেই...যা তুই আগে ready হয়ে নে...আজ তো সোমবার তোর স্কুল আছে তো আর আমাকেও অফিসে যেতে হবে..""জেরির ডাকেই আমার সম্বিৎ ফিরলো ""আর হ্যাঁ পরশু একবার ছুটি নিতে পারবি ?? যদিও  মনে হচ্ছে না যে ছুটি নেওয়ার দরকার পড়বে..তাও বলে রাখলাম আর কি..চেষ্টা করে দেখ...I need you... """

""বুঝেছি রে....তুই কোনো টেনশন করিস না... I am always with you.....চ কাল ছুটি আমার... """

সারাদিন যে কিভাবে স্কুলে কাটালাম সেটা স্বয়ং ভগবানই জানেন....স্কুল ছুটির একটু আগেই জেরি আমাকে pick up করে নিলো..বাড়ি ফিরলাম দেখি রামুদ বাড়িতে নেই....একটু অবাক হয়েই জেরিকে জিজ্ঞাসা করলাম রামুদার ব্যাপারে..রামুদা নাকি কোনো একটা urgent কাজে নিজের গ্রামে গেছে...তাই বাড়িতে আমরা দুজনে ছাড়া আর কেউ নেই.. এবারে ও main দরজাটা বন্ধ করে আমার বুকে আর পিঠে স্টিলের দুটো থালা ভালই করে বেঁধে দিলো..সাথে নিজেও বেঁধে নিলো...দিয়ে দুজনেই ওভার কোটটা ভালোভাবে পীরে নিলাম যাতে ওপর থেকে দেখে কোনোভাবেই বোঝা না যায়....

ওই রকম কার্টুনের মতো সেজে প্রায় আধ ঘন্টা হতে চললো আমি আমাদের রান্নাঘরে আলো বন্ধ করে একটা ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে বসে আছি...এখন থেকে আমাদের main দরজাটা  আর এমদ্রর daining রুমটা ভালোকরে দেখা যায়...এসব জেরির প্লান..আমি ব্যাস অক্ষরে অক্ষরে পালন করছি..আর ওদিকে জেরি সোফায় বসে নিশ্চিন্তে খবরের কাগজ পড়ছে...daining রুমে অবশ্য আলো জ্বলছে...কিন্তু ওই আলোতে আমাকে দেখা যাবে না...so কোনো চাপ নেই..এই বিশাল ঠাণ্ডাতেও আমি দরদর করে ঘামছি সেখানে জেরিই ওতো শান্ত নিশ্চিত ভাবে কিকরে বসে আছে কে জানে......কে জানে আর কতক্ষন এভাবে বসে থাকতে হবে...আমার হাত ঘড়িটার চলার আওয়াজ আমি প্ৰতি মুহুর্তে স্পষ্ট বুজতে পারছি...আড়চোখে একবার দেখে নিলাম ঘড়িটা...8.30 বাজছে..30মিনিট ধরে আমরা একই ভাবে যে যার পসিশনে বসে আছি..জানি না আর কতক্ষন থাকতে হবে.... একটু বিরক্তিকরও লাগছে...আবার অন্যদিক ভীষণভাবে চিন্তাও হচ্ছে....জেরির কাছে কিছুই নেই self protection এর জন্য...এই সবই ভাবছি হটাৎ calling bell এর  আওয়াজ...অজান্তেই আমার nerve গুলো strong হয়ে গেল..নাঃ আজ self protention আমাদের নিজেদেরই করতে হবে...

""ভিতরে আস্তে পারি?? আসলে অপবার জন্য অনলাইনে খাবার অর্ডার ছিল...""
বেশ একটা পুরুষালি গলা...গলার আওয়াজ শুনতে পেলেও বাকি মানুষটাকে এখন থেকে ঠিক করে দেখতে পাচ্ছি না..দরজায় আড়াল হচ্ছে...কিন্তু করেন জানিনা গলার আওয়াজটা আমার বেশ চেনা চেনা লাগছে....তাও আমাদের আগেকার প্লান কত আমি ভিডিও ক্যামেরাটা চালু করে দিয়েছি...

""কিন্তু আমি বাবামরা তো কোনো খাবার অর্ডার দি নি..""
""না mam, দেখুন এটা আপনার ঠিকানা তাই না..!!??""
""হ্যাঁ তাই তো দেখছি..বিলও রয়েছে দেখছি..mey be হয়তো কেউ ভুল ঠিকানা দিয়ে দিয়েছেন..আচ্ছা বেশ আপনি ভিতরে আসুন আমি টাকাটা নিয়ে আসছি..... ""বলেই জেরি ভিতরের ঘরে টাকা আনতে গেল...এখন লোকটা আমার দিকে পিছন করে টেবিলের ওপর ব্যাগটা রেখে সেখান থেকে কি বার করছে...ধুস ছাই আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না...না লোকটার মুখ না ব্যাগে কি আছে সেটা..!!!

""এই নিন আপনার টাকা...""বলেই জেরি একটা 500টাকার নোট এগিয়ে দিল ওই delivery boy এর দিকে...এখন ওরা আমার দিকে
side face করে একটা normal distance এ দাঁড়িয়ে আছে.. kore darite ache.....
"Thank you mam...এই নিন আপনার অর্ডার........ """
কথাটা শেষ হতে না হতেই একটা বীভৎস আওয়াজে আমার কানের পর্দাটা মনের হলো ফেটে গেল......ঠিক যদি কেউ স্টিলের কিছু জিনিসে কোনো ধারালো জিনিস দিয়ে আঘাত করলে যেমন শব্দ হয় ঠিক তেমন...সত্যে সাথে গুলি চলার শব্দ... কিহল কিছু বুজে ওটার আগেই দেখি কোথা থেকে 4 -5 তা পুলিশ আমাদের daining রুম এ এসে হাজির.,...
'""বেরিয়ে আয় টম..""জেরির ডাকে আমার সম্বিৎ ফিরলো...দেখি ঘরের মাঝখানে ওই ডেলিভারি boy টা বসে আছে আর তাকে ঘিরে রামুদা আর গড়বলে বাবু সহ আরো চারজন পুলিশ.... পালানোর কোনো পথ নেই...লোকটার ডান হাঁটুতে গুলি লেগেছে...আর সামনে একটা বেশ মজবুত বরফের ছুরি দুআধকনা হয়ে পড়ে আছে.....
""কিরে চিনতে পারলি টম এই মহান ব্যক্তিটিকে !!??""
কথাগুলো বলতে বলতে জেরি হটাৎএকটা সপাটে চড় কসালো...আর সাথে সাথে একটা নকল গোঁফ আর একটা নকল দাঁত সেট খুলে মাটিতে পড়লো...
"কিরে আবার চিনতে পারছিস টম???""""...
আরে এতো প্রকাশক দেবজিত বাবু......
"হ্যাঁ ঠিকই ধরেছিস...আমিও একটু confused ছিলাম প্রথমে..যে কে হতে ওয়ারে দেবজিত বাবু না সিং বাবু না লেখক
সাজিদ বাবু তার ওপরে তো অস্ত্রটারও ব্যাপারে বুজতে পারছিলাম..তাই এই সব প্ল্যান করা....তা Mr. দেবজিত বাবু আপনি নিজেই সব বলবেন না পুলিশরা তাদের পদ্ধতি শুরু করবে??? """
নাঃ দেবজিত বাবু সেদিন ultimately কিছুই বলেন নি...দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিলেন....পরে ডাক্তারি পরীক্ষার দ্বারা জন্য জয় যে উনি একজন phisco killer.... এই সব খুন...বিভিন্ন লেখকদের লেখাকে হাতিয়ার বানানো...আর বরফের ছুরি..এই সব ওনার কাছে একটা নেশার মতো...এই যেমন সাধারণ মানুষের কাছে smoking আর  drinking...ঠিক তেমনি ...

কলমের ওপরে
Bella..
13.12.2019

Wednesday, 27 November 2019

হম আমরা মেয়ে...
yes we are girl...



সবাই আমাকে শৈলপুত্রী বলে,,,, হম আমি শৈলপুত্রী কারণ আমি বউ হিসাবে পরিবারের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তোমাদের হাসিখুসিতে রাখি,,,,,,,

Everyone compares me with power of strength ,,,,,, yes I'm the form of strength because I take all the responsibilities of family as a wife on my shoulders and make you laugh.



সবাই আমাকে ব্রহ্মাচারিনী বলে,,, হম আমি ব্রহ্মাচারিনী কারণ মা হয়ে তোমাদের যেমন 10 মাস 10 দিন আমার গর্ভে ধারণ করি তেমনই সেই 10 মাস 10 দিন কিন্তু আমারা ঘরের আর বাইরের সব কিছুই সামলাই,,,

 Everyone compares me with the power of nature.... yes I'm the form of nature because I used to take u in my womb for 10 months 10 days as a mother, even though that 10 months and 10 days we handle everything in the house and outside.



Pic :- Fraser-Pryce 


সবাই আমাকে দুর্গা বলে,,,, হম আমি দুর্গা কারণ আমি আমার পরিবারের জন্য সব কিছু করতে পারি,,,

Everyone compares me with the power of determination,,,, yes I'm a form of the of determination because I can do everything for my family

সবাই আমাকে কালি বলে,,,,, হম আমি কালি যখন সেটা আমার selfrespect আঘাত লাগে...

Everyone compares me with the power of anger..,yes  I'm the form of anger when it hits my selfrespect.


Pic :- Jhansi ki Rani ""Laskhmi Bai"


সবাই আমাকে চন্দ্রাঘন্টা বলে,,হম্ম আমি চন্দ্রাঘন্টা কারণ কোনো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে যা করতে হয় আমি তাই করি,,

Everyone compares me with the power of kindness,
yes I'm the form of kindness because I do what I have to do to stand next to a helpless person.


Pic :- Mother Teresa

সবাই আমাকে মহা গৌরী বলে,, হম আমি মহা গৌরী,,, কারণ তোমাদের চরম ব্যর্থতার মধ্যেও আমি তোমাদের পাশে থাকি,,,তোমাদের সবকিছু নতুন ভাবে শুরু করার উৎসাহ দি,,

Everyone compares me with the power of positivity..., yes I'm the form of positivity because even in the face of your ultimate failure, I am with you, encouraging you to start all over again.

Pic :- Malala Yousafzai

সবাই আমাকে সিদ্ধিদাত্রী বলে,, হম আমি সিদ্দিদাত্রী কারণ তোমার প্রথম বর্ণ পরিচয় সেই তোমার মায়ের কাছ থেকেই হয়,,,,,

Everyone compares me with the power of knowledge...yes I'm the form of knowledge because your first education is begins from your mother

                  Pic :- SHAKUNTALA Devi 


সবাই আমাকে চন্ডী বলে,,,হম আমি চন্ডী কারণ আমি আমার ভাই বোনের জন্য তান্ডব ও করতে পারি,,,,

Everyone compares me with the power of death,,,, yes I'm the form of death because I can and should do it for my siblings....

Pic :- Kiran Bedi

আর সেই আমাকেই তোমরা কুশমাণ্ড বলো,,, হম আমি কুশমাণ্ড কারণ তোমাদের সব শক্তি আনন্দ শান্তি সেই আমার কাছ থেকেই পাও...,

And you only compares me with the power of Patience...Yes I'm the form of patience because all your strength and happiness is from me.

Pic :- "She" is with me. My Mom ( Mrs. Mousumi Banerjee) 


আমি একজন মেয়ে,,,আমি আর কিছুই না,, তোমাদের আশেপাশে থাকা কখনো মা,,কখনো বা বউ,,, কখনো বা বোন,, কিন্তু আমরা চাইলেই দেবী দুর্গার অবতার নিতে পারি,, কারণ ""মা"" আমাদের মধ্যেই আছেন,,,,

Yes.. I am a girl...nothing else..Sometimes I am a mother, sometimes a wife, sometimes a sister, But we can take the incarnation of the goddess Durga, if we want, because the "" mother "" is in us.

কলমের ওপারে,,,✒️✒️
Bella..
10.10.2019

N.B
Plz কোনো ছেলে খারাপ ভাববেন না,,,,আপনারাও একজন বাবা হিসাবে,, একজন দাদা/ভাই হিসাবে,,,, একজন বর হিসাবে অনেক কিছু করেন,,,, অনেক কষ্ট সহ্য করেন,,, অনেক sacrifice করেন,,,,আর সেটা আমরাও মানি,,,,😇😇😇

plzz guys.. dont feel bad..
You also do a lot, as a father, as a brother, as a husband...
you guys endures a lot of hardship, sacrificed a lot,, and we obey that..😇😇

Thursday, 26 July 2018

নববর্ষ 


আজ সত্যি নিজেকে প্রবাসী বলে মনে হলো দেবাংশীর ...কে বলবে আজ নববর্ষ ?? মানে ওই বাঙ্গালী New Year..😊..
আগে যখন ও বাড়িতে থাকতো, আজকের দিনটাতে যেত দাদু - কাকাদের সাথে চরকের মেলাতে ..ওদের এই গ্রামে হয় মেলাটা...ভাই বোন হওয়ার পর, ওদের কেও দলে নিয়ে নিতো দেবু...😍😍😘....কাঠি ভাজা, জিলিপি, বাদাম ভাজা, ভাইবোনের খেলনা, কোনোটাই বাদ দিতো না ও কিনতে....বাড়ির সবার পছন্দের কিছু না কিছু নিয়ে আসাতে যে কতটা মজার সেটা realise করতো ও..In fact ফুচকা pack করে বাড়িতে নিয়ে এসে সবাই মিলে খাওয়ার আনন্দটা ও হয়তো কেউকে বলে বোঝাতেও পারবে না...এসব মনে পড়লে ওর মনের ভিতরটা কিরকম হু হু করে ওঠে...😫😫😫😫...আর ফুচকার home delivery কথাটা শুনলে হয়তো ওর বন্ধু বান্ধবরা হাসতেও পারে ....তাই র কেউ কেই কোনো দিনও বলা হয়ে ওঠে নি এই সব কথা গুলো ...😦😦😦
সবই যেন বড়ো হবার সাথে সাথে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে...আজ কাল প্রায় প্রতিটা মুহূর্তেই ওর মনে হয় হয়তো এই জন্যই বড়োরা বলতো ছোট বেলাটাই ভালো....
হটাৎই গায়ের পুরোনো rough use করার জামাটা দেখে চোখের কোনটা হয়তো নিজের অজান্তেই ছল ছল করে উঠলো দেবুর...প্রতি বছর এই দিনটাতে ঠাকুমা ওদের তিন ভাই-বোনকে mainly ওকে জোর করেই নতুন জামাটা পড়াতো ...😍😍😍😍.....তখন আলিয়সসী লাগতো নতুন জামাটা পড়তে জাকে বলে লেড্ঢ ..😎😎..কিন্তু এখন সেই ইচ্ছাটা থাকলেও, বাকি সব স্বপ্ন কথা.....😭😭😭😭😭😭😭😭..
একটা গভীর নিঃস্বাস ছেড়ে.....😤😤😤....Online হলো দেবু.......সবাইকে নৱবৰ্ষৰ শুভেচ্ছা যে জানাতে হবে....😊😊😊....আজ whatsapp, Facebook কোথাও বাকি নেই নৱবৰ্ষৰ শুভেচ্ছা বিতরণের. সাথে রসগোল্লার pic গুলরত কোনো কথা হবে না.....আহা জিভ এ জল চলে আসে ....😍😍😍😍😍😍😍😍😘😘😘😘😘.......
মনের ভুলেই একটা অবজ্ঞার হাসি হাসলো দেবু, সত্যি দুনিয়াটা digital হয়ে গেছে ....😏😏😏....
Sms করতে করতে চোখের সামনে ভেসে উঠলো বাড়িতে সবার সাথে কাটানো ওর সেই golden moment গুলো 
কাকা-কাকিমাদেড় সাথে খুনসুটি...ভাই বোনের সাথে ঝগড়া-মারপিট-টিভি দেখা..খেলা আবার কখনো বাবার গাড়িতে চেপে নতুন খাতা করতে যাওয়া....মায়ের কাছ থেকে কখনো বা টক-ঝাল-মিষ্টি বকুনি আর সর্বোপরি দাদু-ঠাকুমার সেই আদোরের ঝাঁপি খুলে কোনো রূপকথার গল্পের রাজকুমারী হয়ে যাওয়া.........😍😍😍😘😘😘😂😂😂😂😂😂😂.....সত্যি সেসব আলাদাই মজা.....
হঠাৎ ওর সম্বিৎ ফিরলো whatsapp এর কলেজ groupa sms আসাতে .....সব তামিল এ কথাবার্তা...ওই গতকাল ওদের তামিল New year গেছে তো সবাই কে কি করেছে তার pic পাঠাচ্ছে......😑😑😑😑সাথে তামিল অক্ষরে কি সব যেন লেখা...দুস্স কিছু পড়তে পারে না ও তামিল এ.....প্রথম প্রথম ও এখানে আসার পর পর চেষ্টা করে তামিল শেখার....কিন্তু ভাষাটা কেমন রস কোষ বিহীন....আর তাছাড়া এখানকৰে মানুষগুলো কেমন যেন....মিস্তে চায় না....ভাষার অসুবিধার জন্য..বুকের ভিতরটা হু হু করে উঠলো দেবুর, সত্যিতো আজ যদি ও বাড়িতে থাকতে পারতো....😭😭😭😭.....Room থেকে বেরিয়ে এসে বারান্দাটায় দাঁড়ালো....হয়তো ভয় পেয়ে যদি ওর চোখের কোনায় জমে থাকা নোনা জলটা বাঁধ ভেঙে দেয়....সবাই কি ভাববে???😖😖😖😖😖😖😖......নঃ faliure ও....পারলোনা সবার আড়ালেও বাঁধটা ভাঙতে...
হঠাৎই দেবুর মনে হলো ওর মনের ভিতর থেকে কেউ যেন একটা ওর দিকে তাকিয়ে হাস্তে হাস্তে বলছে,""কিছু স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলি না ???😏😏😏 আজ বাড়ি যাওয়াটাই তোর কাছে সব থেকে বোরো স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে""""এ সব ভাবতে ভাবতেই কোনো এক অজানা দুনিয়ায় চলে গেছিলো.....যেখানে ও সম্পূর্ণ এক|😖😖😖...কোথা থেকে একটা ঠান্ডা হাওয়া এসে ওর শরীর আর মনটা কে ছুঁয়ে যেতেই ওর খেয়াল করলো বারান্দার নিচেই কোনো এক family dinner করে ফিরলো.....তারা ব্যাস্ত আজ কে কি ভাবে enjoy করেছে সেটা discussion a.....room এর ভিতরে roommate rao ব্যাস্ত তাদের নিজেদের কাজে....আর খোলা আকাশের রুপালি তারাগুলোকে দেখতে দেখতে দেবাংশীর মনে হলো,"" সত্যি জীবনে কিছু হতে গেলে ........বা এক অজানা বিলাস বহুল জীবনকে হাতের মুঠোয় পাওয়ার আশায় .....হয়তোবা নিজেকে বাকি সবার কাছে প্রমান করার জন্য এটাই হয়তো সব থেকে ছোট্ট আর সর্ব প্রথম পদক্ষেপ..........আর তার এই চলার পথে সে এক| নয়.....কত কত হাজারো অচেনা অজানা পথযাত্রী যেন নীরবে নিঃসাড়ে তার সঙ্গী হয়ে চলেছে...........""....😢😢😢😢😢😢😢
--------
কলমের ওপারে,
"বেলা""

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা এক সময় শুধুই স্মৃতি হয়ে যায়,..... এক সাথে‌ কাটানো মূহুর্ত গুলো খেই হারিয়ে ফেলে কিছু ভুল বোঝাবুঝির ভিড়ে,, এক স...